১৯৬৭ এর অক্টবর মাস, ৩৯ বছর বয়সি, মাথার ঝাকড়া চুল গুলো ময়লা হয়ে যাওয়া, ছিপছিপে এলোমেলো, তুখড় দৃষ্টি তে চোখ গুলো জ্বলজ্বল করছে, পিছনে হাত বাধা অবস্থায় মাটিতে শুয়ে আছে এক মহান বিপ্লবী, অদম্য সাহসী যোদ্ধা - চে গুয়েভারা।
১৯২৮ এর আজকের দিনে (১৪ জুন) আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া এর্নেস্তো "চে" গুয়েভারা ইউনিভার্সিটি অফ বুয়েনোস এইরেস থেকে পড়াশুনা করে হয়েছিলেন চিকিৎসক।
মেডিসিন নিয়ে পাড়ার সময়ে-ই লাতিন আমেরিকা একাই ঘুরে বেরিয়েছিলেন নিজের প্রিয় মোটরসাইকেলে, ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালের সেই ট্রিপে পাড়ি
দিয়েছিলেন যথাক্রমে প্রায় ৮০০০ ও ৫৪০০ কিলোমিটার।
সাগর পাড় থেকে শহরের বস্তি, পাহাড় থেকে পাড়া গাঁ এর বাড়ি ঘড় পর্যন্ত মানুষের কষ্ট ও দারিদ্রতা, ক্ষুধা, রোগ তাকে সে সময়েই বেশ পীড়িত, আতঙ্কিত ও হতাশ করে।
ছয় মাস সাগর পাড়ের জেলেদের জন্য একজন ফ্রি নার্স হিসেবেও কাজ করছিলেন চে’ সম্পূর্ণ মানুষ কে ভালোবেসে।
তিনি মনে প্রানে চেয়েছিলেন এই একক কর্তৃত্বের সমাজ ব্যবস্থাকে বদলে দিতে, কিন্তু সে কাজ তো আর সহজ নয়।
পরবর্তীতে মেক্সিকোতে রাউল ও ফিদেল কাস্ট্রোর সাথে দেখা ও বিখ্যাত জুলাই মুভমেন্ট’ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে চে’ এর বিপ্লবী ও বিদ্রোহী স্বত্ত্বা পূর্ণতা লাভ করে।
ভয়ংকর আন্দোলন ও কঠিন গেরিলা যুদ্ধে জয়ী হয়ে কিউবা তে বাতিস্তা সরকার কে হটিয়ে বেশ ভালোই ছিলেন চে' বেশ বলতে দেশের সেরা বা টপ মিলিটারি
কমান্ড,
একজন মন্ত্রী, কোন ভয় কিংবা অভাব নেই, সম্মান ও ক্ষমাতার ছড়াছড়ি, কিন্তু যার রক্তে বিদ্রোহ বা বিপ্লব মিশে আছে সে কি আরামে বসে খেয়ে দেয়ে
মোটা হওয়া
পছন্দ করবে?
নিশ্চয়ই না! এবং তিনি সেটা করেন ও নি।
১৯৬৬ সাথে পাসপোর্ট পরিচয় সম্পূর্ণ বদলে ছুটে গিয়েছেন বলিভিয়া’য় সেই সময়ে চলা আরেক বিল্পব কে সফলতার রুপ দিতে, কিন্তু এবার আমেরিকান
গোয়েন্দা আর লোকাল অসহযোগিতায় আর পারা হলো না।
ধরা পরে গেলেন, বলিভিয়ান আর্মির হাতে, হয়েছিলেন প্রতারিত।
হতে হয়েছিলো নির্মম হত্যার শিকার।
বিপ্লব ছড়িয়ে দিতে এরকম সাহসী ত্যাগ খুব কম মানুষই করতে সাহস পেয়েছিলেন ইতিহাসে।
চে যেদিন ধরা পরেন, সদ্য সৈনিক বন্ধুক তাক করে চে’ কে চিনতে পারে নি, তখন চে বলেছিলেন
- "গুলি করো না, জীবিত চে, মৃত চে এর থেকে বেশি মূল্যবান” ।
বলিভিয়ান আর্মির সেই সৈনিক সেদিন গুলি না করে চে কে বন্ধি করে নিয়ে যায়, মূলত চে যা বলেছিলেন সত্যি সেটাই ।
জীবিত চে কে বন্দি করা তার জীবন বদলে দিয়েছিলো, সে ভিন্ন কথা।
চে গুয়েভারার ধরাপড়া নিয়ে ফিদেল কাস্ত্রো মানতে চান নি বা বিশ্বাস করতে চাচ্ছিলেন না ।
তাই, বন্ধু ফিদেল ক্যাস্ট্রো কে বিশ্বাস করানোর জন্য বলিভিয়া চে গুয়েভারাকে হত্যা করে হাতের কব্জি কেটে পাঠিয়ে ছিলো।
মহান ব্যক্তিত্ব ও বিপ্লবী চেতনা চে কে অমর করেছে, যে সৈনিক চে কে প্রথম তার এক্সেকিউশন এর কথা জানায়, সে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তুমি শেষ কি বলতে চাও চে’ তার ওয়াইফ কে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল যেনো সে আবার বিয়ে করে নেয়।
তবে যখন চে কে গুলি করা হয় তার নাম ছিল - সার্জেন্ট টেরান (তার এক ভাই বলিভিয়ার ওই যুদ্ধে মারা গিয়েছিলো বলে তাকে শুট করতে দেয়া হয়।) –
অপরিণত সেই সৈনিকের হাত কাঁপা গুলি ভুল করে লেগে যায় চে এর পায়ে চে তখন অনেকটা ধমক দিয়েই এ বলেন –
"আমি জানি তুমি আমাকে মারতে এসেছ। গুলি কর, কাপুরুষ! তুমি শুধু একজন মানুষকে মারতে যাচ্ছ!”
তীব্র ব্যাথার চিৎকারে যেনো দুর্বলতা প্রকাশ না পায় সে জন্য হাতে পায়ে গুলি লাগার পরেও চে তার এক হাতের কব্জি কামড়ে ধরেছিলেন।
৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সাল , মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সেদিন আসলেই শুধু একজন মানুষ কে হত্যা করা হয়েছিল, অথচ তিনি এখনো আমাদের মাঝে আছেন।
চে’ কে যেই স্কুল ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছিলো, হত্যার ঠিক কিছু আগে, চে সেই স্কুলের শিক্ষকের সাথে অল্প সময়ের জন্য দেখা করতে চান,
এবং দেখাও করানো হয় – ২২ বছর বয়সি (জুলিয়া কর্টেজ), তিনি ভেবেছিলেন চে' হয়তো যার কাছে কোন এক অনুনয় বা অনুরোধ করে যাবেন, হেরে যাওয়া,
ভীত, ভগ্ন মানুষরা যা করেন, জীর্ণ শীর্ণ এই অবস্থায় চে এর কথা ওই শিক্ষকের মনে গেঁথে যায়,
“ ভেঙ্গে পরা এই স্কুল ঘরে কি শিক্ষাই হচ্ছে আর কি সেখানো হচ্ছে, যেখানে তোমাদের শাসকেরা দামি মারসিডিস এ ঘুরছেন, আর বিদ্যালয় ভেঙ্গে পরেছে,
শুধু যেনে রাখো আমরা ঠিক এই সবের বিরুদ্ধে ই লড়াই করছি।
চে' জনপ্রিয়তা সম্পর্কে একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যখন - আপনি কি আপনার অমরত্ব নিয়ে ভাবছেন চে বলেছিলেন
আমি শুধু বিপ্লবের অমরত্বের কথা ভাবি, আমার না।
মৃর্ত্যুর পর যাতে চে এর কবর বিশেষ কিছু না হয়ে উঠে, বলিভিয়ান আর্মি তাই তাকে সে সময় গোপনে একটি গণ কবরে কবর দেয় ।
লুকিয়ে কি আসলেই সব কিছু লুকিয়ে ফেলা যায়?
যা সব কিছু হৃদয়ে রয়ে গেছে তা তো মুছে ফেলা যায় না ।
চে চেয়েছিলেন বিপ্লবের অমরত্ব, বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ুক সারা পৃথিবীতে সব জায়গায়, সেই বিপ্লব আর বিপ্লবীদের আজ কি অবস্থা, বলা মুশকিল ??
শুভ জন্মদিন আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া মহান আর্নেস্তো "চে" গুয়েভারা !!, মানুষ আপনি আর তথাকথিত জীবনে বেঁচে নেই, তবে হাজার যুগের মহান বিপ্লবী এমন একজন যিনি শুধু ফাঁকা বুলি দিয়ে মাঠ গরম করেনি রণক্ষেত্রে তা করে দেখিয়েছেন।
চে গুয়েভারাকে নিয়ে নির্মিত মুভি -
- The Motorcycle Diaries.
- Che, part one.
- Che, part two.
In October 1967, at the age of 39, with tousled hair and fiery eyes, a courageous revolutionary lay on the ground, captured but unbroken. Ernesto "Che" Guevara, born on June 14, 1928, in Argentina, started his journey as a medical student at the University of Buenos Aires.
During his medical studies, he embarked on solo motorcycle trips across Latin America, covering thousands of kilometers and witnessing the plight of the impoverished.
From coastal towns to mountain villages, from the plains to leper colonies, he encountered the suffering and poverty of the people, experiencing hunger, disease, and despair.
For six months, he worked as a free nurse in a leper colony, deeply empathizing with the suffering and injustice around him. His desire to change the world through individual action was born, yet he knew the path would not be easy.
His meeting with Raúl and Fidel Castro in Mexico and his participation in the July Movement marked the beginning of his revolutionary journey. Embracing the harsh realities of guerrilla warfare, Che played a pivotal role in overthrowing the Batista regime in Cuba, rising to become one of the country's top military commanders and ministers.
But comfort and power were never his goals. Despite being hailed as a hero or top military commander in Cuba, Che chose the path of continuous struggle and sacrifice.
In 1966, he left Cuba, changing his identity, to ignite another successful revolution in Bolivia. However, faced with American intervention and local betrayal, his mission ended in his capture and execution.
The soldier who couldn't recognize Che when he was captured was told, "Don't shoot! Alive, Che is worth more than dead Che." Though only one person was killed that day, Che, at 39, remains among us.
Che's school of thought wasn't just about immortality. When asked about his legacy, he replied, "I think only of the eternal struggle of revolution." Even in death, the Bolivian army secretly buried him to prevent his grave from becoming a place of pilgrimage.
Che Guevara, born in Argentina, lives on in the hearts of millions worldwide, a timeless revolutionary whose spirit continues to inspire generations. Happy Birthday, Ernesto "Che" Guevara!
writer ...
এই লেখার উৎসাহ ও লেখককে সম্মান জানাতে সম্মানী পাঠাতে পারেন -
(ইহা একটি স্বতঃস্ফূর্ত লেখার মুভমেন্ট’ যা প্রতিটি লেখাকে সম্মান জানায়।)
বিকাশ বা নগদ নাম্বর দেখতে এখানে ক্লিক করুন - ...
বিকাশ নগদ: 01711-431019
Discover the remarkable journey of Ernesto "Che" Guevara, the iconic revolutionary whose fervor for justice and equality
ignited a global movement. From his early days as a medical student to his pivotal role in the Cuban Revolution alongside
Fidel Castro, Che's unwavering commitment to social change continues to inspire generations.
Explore his travels across Latin America, his advocacy for guerrilla warfare, and his enduring belief in the power of the people.
#CheGuevara #Revolutionary #SocialJustice #Legacy #Inspiration #Icon #CubanRevolution #GuerrillaWarfare
#GlobalMovement #Equality #Justice